প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আয়োজক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মিলা। ইংল্যান্ডের এ সুন্দরীর অভিযোগ, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আড়ালে আসলে প্রতিযোগীদের শোষণ করা হয়। তাঁর কথায়, ‘নিজেকে যৌনকর্মী বলে মনে হচ্ছিল। বাঁদরকে যে ভাবে নাচানো হয়, সেই ভাবেই আমাদের পারফর্ম করতে হচ্ছে। এর পরই মিলা উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি কারও মনোরঞ্জনের পাত্রী হতে আসিনি।’ মিলা আরও জানিয়েছেন, প্রতিযোগীদের সকাল থেকে মেকআপ করা, পোশাক পরা, সেগুলি ঘনঘন বদলানো, ইত্যাদি করতে হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তা চলছে। তার পর ধনী পুরুষদের সামনে হাঁটানো হচ্ছে।মিলা জানিয়েছেন, একটা অন্য রকম কিছু আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই প্রতিযোগিতা সেই পুরনো দৃষ্টিভঙ্গিতেই আটকে রয়েছে বলে দাবি ‘মিস ইংল্যান্ড’-এর। তাঁর দাবি, ‘জোড়ায় জোড়ায় বেছে নেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। প্রত্যেক টেবিলে ছয়জন করে পুরুষ বসে থাকেন। তাঁদের কাছে দুজন করে প্রতিযোগীকে পাঠানো হয় যাতে তাদের মনোরঞ্জন করতে পারি। এই ঘটনাকে তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না বলে জানিয়েছেন মিলা। প্রতিযোগীদের সঙ্গে অত্যন্ত অন্যায় হচ্ছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। মিলা বলেন, ‘মিস ওয়ার্ল্ড-এর একটা মূল্যবোধ আছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই প্রতিযোগিতা সেই পুরনো ধ্যানধারণাতেই আটকে। এই ধরনের ঘটনা নিজেকে যৌনকর্মী ভাবতে বাধ্য করাচ্ছে।’