জুলাই সনদ সহজতর করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে পরস্পরকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনর সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রবিবার (২২ জুন) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শুরুত তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই আলোচনার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়েছে। সেটা আমরা লক্ষ করেছি।
যে মানসিকতার জায়গা থেকে আপনারা শুরু করেছেন, সেটির জন্য আপনাদের ছাড় দেওয়ার প্রয়োজন হবে। এ নিয়ে আপনারা নিজেদের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলুন।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনের আলোচনায় কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। যার মধ্যে রয়েছে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, নারীদের প্রতিনিধিত্ব ও জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন।
এর মধ্যে সপ্তাহান্তে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, আমরাও করেছি। তারা আমাদের বলেছেন, উচ্চকক্ষ গঠনসহ বেশ কিছু বিষয়ে তারা নীতিনির্ধারদের সঙ্গে কথা বলতে চান। কমিশনও মনে করে তাদের নিজেদের বসা দরকার। সে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এই বিষয়গুলো পরে আলোচনা করার এবং দুদিন বাদে আমরা আবার বসব।
’আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজ আমরা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধানের মূল বিষয় ও নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করবো।’রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা একটু বিবেচনা করুন। একটা কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা এখানে এসেছি। ষোলো বছরের সংঘাত, হাজারখানেক মানুষের আত্মদান ও বহুলোকের গুমের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
এই মানুষগুলো আপনাদের কর্মী, আপনাদের সন্তান। তাদের কারণেই আমরা আজ এখানে, নাহলে তো বসতে পারতাম না!’এসব বিবেচনায় কোন জায়গাতে আমরা একমত হতে পারি, কোন জায়গায় কতটুকু যেতে পারি—তার জন্য একটু ছাড় দেওয়ার বিষয়টি দেখতে হবে। আপনাদের অনুরোধ, আরেকটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন, তাহলেই জুলাই সনদ করা আপনাদের জন্য সহজতর হবে।’
বৈঠকে আলী রীয়াজ ছাড়াও আরও উপস্থিত রয়েছেন, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।