নির্বাচনী প্রস্তুতি বিএনপির : আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে, এমনটা ধরে নিয়েই নির্বাচনী যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলেও আগামী সংসদ নির্বাচন ‘কঠিন’ হবে ধরে নিয়েই প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে যাঁরা এগিয়ে থাকবেন, তাঁরাই চূড়ান্ত বিচারে দলের মনোনয়ন পাবেন। সর্বোচ্চ সতর্কতা ও যত্ন নিয়ে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে ইশতেহার রচনা, প্রচারসহ সব ক্ষেত্রেই সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিতে চান তাঁরা। পাশাপাশি বিএনপি একক নাকি জোটগতভাবে নির্বাচন করবে, তা নিয়েও চলছে আলোচনা। এজন্য যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে নতুন করে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, সেখানে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার কথা বলা হচ্ছে। তবে সেটা কোন কাঠামোয় হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। বিএনপির সঙ্গে বিগত দিনে যুগপৎ আন্দোলন করেছে এমন দলগুলোকে নিয়ে জোট হবে, নাকি তাদের জন্য আসন ছাড় দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে যে দলগুলো একাত্ম হয়ে বিগত দিনে আন্দোলন করেছে, নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের অবদানের প্রতিদান দিতে চায় বিএনপি। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহার রচনার ক্ষেত্রেও বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ৩১ দফার আলোকেই নির্বাচনী ইশতেহারও করা হবে। এদিকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে হাইকমান্ডের নির্দেশে প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি দল গোছানো, শৃঙ্খলা আনয়নসহ বিএনপিতে বিভিন্ন প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। সূত্র বলছেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এবার খুবই কঠোর অবস্থানে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন না, আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় ছিলেন কিংবা গা বাঁচিয়ে বা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপস করে চলেছেন এমন নেতাদের প্রার্থী করা হবে না এবার। একই সঙ্গে ৫ আগস্ট-পরবর্তী ব্যক্তিগত স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে যাঁরা অপকর্মে জড়িয়েছেন, যাঁদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁরাও প্রার্থী হতে পারবেন না।