রবিবার (৪ মে) এসংক্রান্ত রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর অধ্যাদেশ জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী তার আগে বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড।সম্প্রতি মাগুরায় ধর্ষণকাণ্ডের পর আইন, বিচার নিয়ে আলোচনা-আলোচনার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। পরে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ সংশোধন করে গত ২৫ মার্চ অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশে ছেলেশিশুদের প্রতি যৌনকর্মকে ‘বলাৎকার’ ও ‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম করার দণ্ড’ শিরোনামে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়। আর ধর্ষণের মামলায় ডিএনএ পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়।নতুন বিধানের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বেসরকারি দাতব্য সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’র পক্ষে সংগঠনটির সম্পাদক আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নাদিমসহ কয়েকজন গত ৭ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম দণ্ড’ শিরোনামে আইনটির নতুন ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আদালত চার সপ্তাহের রুল দিয়েছেন। রিট আবেদন অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের ৫ ধারার মাধ্যমে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক) ধারার পর ‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম করিবার দণ্ড’ শিরোনামে ৯(খ) ধারা সংযোজন করে।এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি দৈহিক বলপ্রয়োগ ব্যতীত বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া ১৬ বৎসরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে যৌনকর্ম করেন এবং যদি উক্ত ঘটনার সময় উক্ত ব্যক্তির সহিত উক্ত নারীর আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।