ব্রিটেনের কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ বা সহজলভ্য পেইনকিলার যেমন প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন ইত্যাদি ওষুধ ভুলভাবে ও নিয়মবিহীন ডোজে খাওয়ার প্রবণতা লিভারের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।শুধু ব্যথা নয়, সামান্য অসুস্থতা দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই স্টেরয়েড বা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া আজ সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই প্রবণতাই ডেকে আনছে ফ্যাটি লিভার ও সিরোসিসের মতো জটিল রোগ।ফ্যাটি লিভারের দুটি ধরনএই রোগকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় — অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভারে চর্বি জমে যে সমস্যা হয়, তা অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।কিন্তু মদ না খেলেও লিভারে মেদ জমতে পারে। এর পেছনে আছে অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ এবং অজান্তেই ওষুধের অপব্যবহার। বাংলাদেশের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর একটি গবেষণায়ও দেখা গেছে, মাইগ্রেন, কোমর-পিঠ বা হাঁটুর ব্যথার মতো সমস্যা হলে অনেকেই বছরের পর বছর নিয়ম না মেনে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে চলেছেন। এর ফলে শুধু লিভার নয়, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও হজমপ্রক্রিয়ায়ও প্রভাব পড়ছে।
তলপেটে তীব্র ব্যথা
বমি ভাব ও মাথা ঘোরা
লিভার এনজাইমের বৃদ্ধি
ত্বকে অ্যালার্জির প্রবণতা
৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের ওপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেইনকিলার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে এমনদের মধ্যে পেপটিক আলসার, কিডনি রোগ, হাইপারটেনশন ও হার্টের সমস্যার হার উল্লেখযোগ্য।কী করবেন?
চিকিৎসকরা বলছেন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অল্প উপসর্গে নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ওষুধ যতই সহজলভ্য হোক, অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার যে বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা ভুলে গেলে চলবে না।