এরপর যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে সেটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এটি একটি পৃথক রিপোর্ট হবে। যেখানে শেখ হাসিনাকে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়) অভিযোগে সারা দেশে যে গণহত্যা হয়েছে সেই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব কটি মামলাতে শেখ হাসিনাকে আনা হবে না, একটি মামলার মধ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো উপস্থাপন করা হবে। সেখানে আমরা অভিযোগ প্রমাণের পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পেয়েছি। আমাদের কাছে যে অকাট্য প্রমাণ এসেছে তাতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিকবার প্রমাণ করা যাবে। ওই মামলায় কি শুধু শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি থাকবেন? জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এখনো এটা ঠিক করা হয়নি। শুধু শেখ হাসিনাও থাকতে পারেন। আবার তার কমান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে যারা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছেন তাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও আসামি হতে পারেন। কবে নাগাদ এই চার্জশিট দাখিল হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক রিপোর্ট আমাদের হাতে চলে এসেছে। এটি এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ লাগতে পারে। অর্থাৎ এ মাসেই তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় সারা দেশে প্রায় দেড় হাজার মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার অভিযোগে প্রায় ৬০০ মামলা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট মামলার সংখ্যা ৩২৪টি, যার মধ্যে ঢাকাতেই মামলা হয়েছে ২৯৭টি। বাকি ২৭টি মামলা হয়েছে ঢাকার বাইরে।