মুহসিন উদ্দীনের করা রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল দেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, রেজিস্ট্রারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাইনুল ইসলাম।স্বৈরাচারের দোসরসহ নানা অভিযোগ তুলে গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিনের নির্দেশে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদের পরদিন থেকে আন্দেলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে তারা বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছে।প্রতিবাদ কর্মসূচি চলার মধ্যে গত সপ্তাহের অব্যাহতির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট করেন মুহসিন উদ্দিন।আইনজীবী মাইনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ অনুসারে উপাচার্যের নির্দেশে রেজিস্ট্রার কাউকে সিন্ডিকেট বা একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন না। সিন্ডিকেট বা একাডেমিক কাউন্সিল থেকে কাউকে বাদ দিতে হলে সিন্ডিকেট বা একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত লাগবে। মুহসিন উদ্দীনকে অব্যাহতির দেওয়ার ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট বা একাডেমিক কাউন্সিলে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।ফলে এই অব্যাহাতির আদেশের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।’তাছাড়া কাউকে অব্যাহতি বা বাদ দিতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীনকে সেরকম কিছু দেওয়া হয়নি বলেও জানান এই আইনজীবী।