তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে গুরুতর আহত হন একজন। এই মরণাপন্ন আহত ব্যক্তি ও পাঁচজনের মৃতদেহ প্রথমে একটি প্যাডেল ভ্যানে তোলা হয়। পরে ওই ভ্যান থেকে তোলা হয় পুলিশের একটি গাড়িতে। একপর্যায়ে ওই গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় শহীদ হন— সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি, আবুল হোসেন ও একজন অজ্ঞাত।
যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২ জুলাই এ মামলার অভিযোগ দাখিলের পর তা আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার ১৬ আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। গত ১৬ জুলাই পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে ট্রাইব্যুনালকে জানায়, মামলার ১৬ জন আসামির মধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করার পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে রাখা হয়েছে।
এই আট আসামি হলেন সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, সাবেক উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দীন, সাবেক উপপরিদর্শক শেখ আবজালুল হক, সাবেক উপপরিদর্শক কামরুল হাসান ও সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার। বাকি ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান রিপন, আশুলিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ (রনি), সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, নির্মল কুমার দাস (অপারেশন), সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বিশ্বজিৎ সাহা ও স্থানীয় রনি ভূঁইয়া।
প্রতিবেদন দেখার পর ট্রাইব্যুনাল পলাতক আসামিদের বিষয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন। পলাতক আসামিরা যাতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন, তা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও ট্রাইব্যুনালে পলাতক আসামিদের হাজির না হওয়ার গত ২৮ জুলাই শুনানিতে তুলে ধরেন প্রসিকিউটর তামীম। পরে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেন। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শুনানি করে প্রসিকিউশন।