সংবাদসংস্থা এপি-র সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসে অন্য সাংবাদিকদের মতোই ঢুকতে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক ট্রেভর এন ম্যাকফাডেন তার রায়ে জানিয়েছেন, ‘হোইয়াট হাউস যদি কোনো সাংবাদিকের জন্য তাদের দরজা খুলে রাখে তাহলে অন্য সাংবাদিকদের ভিন্ন মতামতের কারণে সেই দরজা বন্ধ করে দিতে পারে না।’গালফ অফ মেক্সিকোকে গালফ অফ আমেরিকা লিখতে অস্বীকার করে সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি। সেই কারণে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হোয়াইট হাউস।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক হোয়াইট হাইসকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলে।ডিসট্রিক্ট জাজ ট্রেভর এন ম্যাকফাডেন তার রায়ে জানিয়েছেন, ‘ওভাল অফিস হোক বা ইস্ট রুম, হোইয়াট হাউস যদি কোনো সাংবাদিকের জন্য তাদের দরজা খুলে রাখে তাহলে অন্য সাংবাদিকদের ভিন্ন মতামতের কারণে সেই দরজা বন্ধ করে দিতে পারে না। এটা সংবিধান স্বীকৃত।’
এপির ওপর নিষেধাজ্ঞাএর আগে এপির সাংবাদিকদের ট্রাম্পের ওভাল অফিস বা এয়ার ফোর্স ওয়ানে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি।অন্যদিকে, হঠাৎ তাদের ইস্ট রুমে ট্রাম্পের বৈঠক কভার করতে ডাকা হয়। সংবাদসংস্থার মুখপত্র লরেন ইস্টন বলেন আদালতের রায়ে তারা ‘খুশি’। তিনি আর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান আমেরিকাবাসীকে যে বাকস্বাধীনতার অধিকার দেয় তা স্বীকৃত হলো।’ হোয়াইট হাইসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।এই রায় কবে থেকে চালু করা হবে তা নিয়েও সুস্পষ্ট কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প প্রশাসনকে এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।বিচারক ম্যাকফাডেন বলেন, ‘এপিকে হোয়াইট হাউসের ঢোকার সর্বকালীন অনুমতি দিতে বলছে না কোর্ট। এপিকে কোন বিশেষ সুবিধা দিতেও বলা হচ্ছে না।কিন্তু তাদের অন্যান্য সাংবাদিক সহকর্মীদের থেকে কম সুবিধা দেওয়া যাবে না।’সংবাদসংস্থা হওয়ার পাশাপাশি এপির স্টাইলবুক বা ইংরেজি ব্যবহারের নিয়মাবলী বিখ্যাত। পৃথিবীর বড় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম এই স্টাইলবুকটি ব্যবহার করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য এই সংস্থার সাংবাদিকদের ‘বামপন্থি পাগল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, যদি না তারা তাদের সিদ্ধান্ত বদল করে এপির সাংবাদিকদের তিনি হোয়াইট হাইসের খবর করতে দেবেন না।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..