এবার গড়লেন আইসিসির পুরস্কারেও। বিশ্বের প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে চারবার মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন গিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩বার জিতেছেন বাবর আজম। আর নারী-পুরুষ উভয় মিলে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে চতুর্থবার এই পুরস্কার জিতেছেন।মেয়েদের হয়ে এই কীর্তি গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস। জেমস অ্যান্ডারস-শচীন টেন্ডুলকার ট্রফিতে রেকর্ড গড়ে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন গিল। ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে যেমন প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক টেস্টে ২৫০+ ও ১৫০+ রান করেছেন তিনি। এক সিরিজে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫৪ রান করা অধিনায়কও তিনি।আরো বেশি কিছু রেকর্ড গড়েছেন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজে।সে সবেরই স্বীকৃতি যেন জুলাই মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। জুলাই মাসে তিন টেস্ট খেলে ৫৬৭ রান করেছেন গিল। এক ডাবল সেঞ্চুরি ও ২ সেঞ্চুরিতে করা গড়টাও ঈর্ষনীয় ৯৪.৫০। তার এমন পারফরম্যান্সের কাছে তাই হার মেনেছেন বেন স্টোকস ও উইয়ান মুল্ডার।এবারের আগে আরো তিনবার মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন গিল। প্রথম জেতেন ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। এরপর একই বছরের সেপ্টেম্বরেও আইসিসির পুরস্কারটি তার হাতে ওঠে। আর তিন নম্বরটি জেতে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে।পুরস্কার জয়ের অনুভূতি জানাতে গিয়ে এবারেরটিকে বিশেষ বলে উল্লেখ করেছেন গিল। ভারতীয় অধিনায়ক বলেছেন, ‘জুলাই মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি দারুণ। এবারেরটি আমার জন্য বিশেষ। কেননা অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সিরিজের পারফরম্যান্সের জন্য পেয়েছি। বার্মিংহামে হাঁকানো ডাবল শতক আমার কাছে এমন কিছু যা চিরদিনের জন্য মনে রাখব।’অন্যদিকে মেয়েদের মাসসেরা হয়েছেন সোফিয়া ডাংকলি। প্রথমবারের মতো আইসিসির পুরস্কারটি জিতেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার। জয়ের পথে পেছনে ফেলেছেন সতীর্থ সোফি একলেস্টোন ও আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক গ্যাবি লুইসকে। ভারতের বিপক্ষে সমান তিন ওয়ানডেতে ১৩৬ রানের বিপরীতে ৪ টি-টোয়েন্টি সবমিলিয়ে করেছেন ১৪৪ রান।