এক পর্যায়ে মোক্তাদির রশীদ নামে এক সাংবাদিক পান্নার কাছে জানতে চান, কারাগারে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে কি না। এ সময় এজলাসের বেঞ্চে বসে থাকা অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন মাহি আসামির সাথে কথা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। বিষয়টা নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এ সময় তাকে আদালত থেকে বের হয়ে যেতে বলেন অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন।ওই সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, ‘আপনি কোর্ট ইন্সপেক্টর কি না? আমাকে বেরিয়ে যেতে বলছেন। বিচারক বললে, আমি বেরিয়ে যাব। এরই মাঝে বিচারক এজলাসে ওঠেন। শাহবাগ থানার একটা মামলার শুনানি শুরু হয়। এ সময় একটু দূরে দাড়িয়ে থাকা সিয়াম এসে ওই আইনজীবীকে বলেন, তিনি বহিরাগত না, একজন সাংবাদিক।এ কথা বলার সাথে সাথে বেঞ্চ থেকে লাফ দিয়ে উঠেই কানের ওপর ঘুষি মারেন। এ সময় সিয়াম তার হাতে থাকা সময় টিভির মাইক্রোফোন উঠিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। তবে আইনজীবী তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসেন। সিয়াম কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার কয়েকজন সহযোগী তাকে ঘিরে মারধর শুরু করেন। আদালত কক্ষে এ পরিস্থিতি দেখে এজলাস থেকে নেমে খাসকামড়ায় চলে যান বিচারক।