আজ রবিবার (৩ আগস্ট) ভোরে সোচির কাছাকাছি জ্বালানি স্থাপনায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ আঘাত হানলে একটি জ্বালানি ট্যাংকে আগুন ধরে যায়। এতে পুরো স্থাপনাটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন অন্তত ১২৭ জন দমকলকর্মী। অগ্নিকাণ্ডের কারণে সাময়িকভাবে সোচি বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাতভর কৃষ্ণসাগরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের আকাশে ৯৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন আটক বা ভূপাতিত করা হয়েছে।অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, রাশিয়া রাতভর তাদের বিভিন্ন শহরে ৮৩টি ড্রোন ও সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।এর মধ্যে ৬১টি ড্রোন ও কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এদিকে, রাশিয়ার ভেতরের আরো কয়েকটি স্থানে — যেমন রিয়াজান, পেনজা ও ভোরোনেজে — ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। ভোরোনেজে একটি হামলায় চারজন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং কমপক্ষে সাতজন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গত সপ্তাহে কিয়েভে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলায় ৩১ জন নিহত হন। ইউক্রেন দাবি করে, এই হামলায় ৩০০টির বেশি ড্রোন ও আটটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাজধানীতে অন্যতম ভয়াবহ আক্রমণ।এই প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়ে মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার পরামর্শ দিয়েছেন।