রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় মধ্যস্থতাকারীদের গত মঙ্গলবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। তবে যুদ্ধবিরতি হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে রাশিয়ার ওপর। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ শেষ করতে একটি চুক্তির জন্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্স্থাপনে নিজেদের দাবিনামার তালিকা পেশ করেছে রাশিয়া; বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত দুই ব্যক্তি রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন।
রয়টার্স লিখেছে, প্রকৃতপক্ষে মস্কো তাদের তালিকায় কী অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং তারা ওয়াশিংটনের দেওয়া শান্তি প্রস্তাব মেনে নিয়ে কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক কি না, তা পরিষ্কার হয়নি। ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা গত তিন সপ্তাহ ধরে ব্যক্তিগতভাবে এবং ভার্চুয়ালি কথা বলার সময় ওই শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তারা জানান, ক্রেমলিনের শর্তের আওতা বিস্তৃত এবং তারা আগেও ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে যেসব দাবি উত্থাপন করেছিল সেগুলোর সঙ্গে নতুন করে তৈরি করা দাবির তালিকা প্রায় একই।
আগে রাশিয়া যে সব শর্ত দিয়েছিল সেগুলো হলো— কিয়েভকে ন্যাটো সদস্যপদ না দেওয়া, ইউক্রেনে বিদেশি সেনা মোতায়েন করা হবে না মর্মে সমঝোতা এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবিকৃত ক্রিমিয়া ও চারটি প্রদেশ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত এটি মেনে নেওয়া।
গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া আরেকটি দাবি তুলেছে আর সেটি হলো পূর্ব ইউরোপ থেকে মধ্য এশিয়ায় মার্কিন ও ন্যাটোর সামরিক সম্প্রসারণসহ তাদের কথিত ইউক্রেন যুদ্ধের ‘মূল কারণ’ এর সমাধান করা।
কিছু মার্কিন কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা ও বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সাবেক কেজিবি কর্মকর্তা পুতিন একটি যুদ্ধবিরতিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে বিভেদ আরো তীব্র করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারেন।
এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাস এবং হোয়াইট হাউজ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় যাচ্ছেন মধ্যস্থতাকারী মার্কিন প্রতিনিধিরা।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা পর মস্কোয় যাচ্ছেন তারা।এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘বল এখন (যুদ্ধবিরতি নিয়ে) পুরোপুরি রাশিয়ার কোর্টে।’ তিনি আরও বলেন, একমাত্র শান্তি আলোচনার মধ্য দিয়েই যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে।
অন্যদিকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ক্রেমলিন বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবনা যাচাই করে দেখছে। এ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপ হতে পারে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..