যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য সুপরিচিত জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা সংস্থা ইউনেসকো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, ‘সংস্থাটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতী ও বিভাজনমূলক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এজেন্ডা প্রচার করে।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, ‘ইউনেসকোতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ এখন আর জাতীয় স্বার্থের মধ্যে পড়ে না।’এ পদক্ষেপটি অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল।এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে তার প্রথম মেয়াদে ইউনেসকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমলে যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় সদস্য পদ ফিরে পায়।ব্রুস আরো বলেন, ইউনেসকো জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিয়ে অতিরিক্ত মনোযোগী। এটিকে তিনি ‘বিশ্বায়নবাদী, মতাদর্শিক এজেন্ডা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।ব্রুস ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাটির ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ইউনেসকোর ফিলিস্তিনকে সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সমস্যা সৃষ্টিকারী। এটি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিপন্থী ও সংস্থাটির মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্যের বিস্তার ঘটিয়েছে।’জাতিসংঘের সংস্থাটি শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার প্রচারে নিজের লক্ষ্য হিসেবে বর্ণনা করে।এটি অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, আফ্রিকার সেরেঙ্গেটি, এথেন্সের অ্যাক্রোপলিস ও মিসরের পিরামিডসহ অসংখ্য স্থাপনা সংরক্ষণের লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় এগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।ট্রাম্পই উইনেসকো থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করা প্রথম প্রেসিডেন্ট নন। এর সংস্থাটিকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও সোভিয়েতপন্থী বলে আখ্যা দিয়ে ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান ইউনেসকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। পরে জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় যুক্তরাষ্ট্র আবার সংস্থাটিতে ফিরে আসে।