আজ সকালে (তিনি) যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন, তেমনটি করতে আমি খুব কমই দেখেছি।’প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার রাগের মুহূর্তগুলোর বিষয়ে কথা বলার জন্য সাধারণত ট্রুথ সোশ্যাল ব্যবহার করেন। বিবিসি সংবাদদাতা ডেবুসম্যান জুনিয়রের কথায়, “অন্তত জনসমক্ষে তিনি একজন শান্ত ব্যক্তি, মাপজোখ করে চুক্তি করতে পারেন—এমন ভাবমূর্তিই বজায় রাখতে পছন্দ করেন। আমি যতবারই তাকে গণমাধ্যমের সামনে কোনো কোথায় বাধা দিতে কমই দেখেছি এবং দেখে থাকলেও সাংবাদিকদের ‘বোকা’ বা ‘হাস্যকর’ প্রশ্নের কারণেই তিনি তা করেছেন।তবে এইবার তেমন হয়নি জানিয়ে তিনি আরো ব্যাখ্যা করেন, ‘হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে বিশ্বের ক্যামেরার সামনে তার অশ্লীল ভাষা ব্যবহার সম্ভবত এই ইঙ্গিতই দেয় যে তিনি যুদ্ধরত দুই পক্ষের প্রতি কতটা হতাশ বোধ করছেন। আপাতত ইসরায়েল তার ক্রোধের তীব্রতার মুখোমুখি হচ্ছে।’‘ট্রাম্প বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি গাজা, ইউক্রেনসহ সব সংঘাতের অবসান ঘটাবেন। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা তাকে রুয়ান্ডা ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের মধ্যে এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের অবসানের কৃতিত্ব দাবি করতে দেখেছি।তবে সেই সংঘাতগুলো বেশির ভাগ মার্কিনের মন থেকে অনেক দূরে ছিল।’ইসরায়েল-ইরানের সংঘাতের প্রসঙ্গটি একটু অন্য রকম উল্লেখ করে ডেবুসম্যান ব্যাখ্যা করেছেন, ‘প্রশাসনের দৃষ্টিতে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়ে থাকলে বা যদি হয়, তাহলে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতিগত অর্জন হিসেবে বিবেচিত হতো। পাশাপাশি এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিজয়ের দিকে ইঙ্গিত করতেও সাহায্য করত। বিশেষ করে যদি মার্কিন বোমারু বিমানের সাহায্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অবসান ঘটানো যায়।‘গত রাতেই আমরা হোয়াইট হাউসের ভেতর থেকে কিছু ব্যক্তিত্বকে ট্রাম্পের শান্তি স্থাপনের উচ্চস্বরে প্রশংসা করতে দেখেছি।