এর বাইরেও প্রশাসনিক সংস্কার, রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা পৃথক করা, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়নের অগ্রগতি, আয়কর বিভাগের ডিজিটাইজেশন প্রকল্পের খসড়া প্রণয়নের অগ্রগতি, করপোরেট কর ও রিটার্ন অনলাইনে জমার সময়সীমা নির্ধারণও উঠে এসেছে প্রস্তাবনায়।
ঋণ কর্মসূচির শর্তের আওতায় এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে তিন মাসে এক লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে এনবিআরকে। বর্তমানে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭.৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এটি দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.৯ শতাংশ করার শর্ত রয়েছে। তাতে এ অর্থবছরে এনবিআরকে আদায় করতে হবে চার লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআরের সদস্য (আয়করনীতি) এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা গত অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ৭.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৪ শতাংশ করেছি। আইএমএফ আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা জানে। তারাই তুলেছে। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে বাড়তি আদায় করার। তাই তারা তাদের লক্ষ্যমাত্রার যে শর্ত তা থেকে সরে আসেনি। চলতি অর্থবছরে দশমিক ৫ শতাংশ কর-জিডিপি বাড়াতে হবে।’
এরই মধ্যে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন অন্তর্বর্তী সরকার চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা করছে।