তবে তার পরিচয় বা তিনি কীভাবে তিনি সীমান্ত পার হয়ে এসেছেন, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রেঞ্জারকে আটক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) বিভিন্ন সেক্টরে বিনা উসকানিতে গুলি চালাতে শুরু করে। এটি ১০ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের ধারাবাহিকতার অংশ।ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, কাশ্মিরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নৌশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুর সেক্টরজুড়ে এই হামলা হয়।পাকিস্তানে আটক পূর্ণম কুমার সাউর ছবি ইতিমধ্যেই সে দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।দেখা গেছে, চোখ বেঁধে একটি গাড়ির ভেতর বসানো হয়েছে, অন্য এক ছবিতে তিনি একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে, পাশে তার রাইফেল, ম্যাগাজিন, বেল্ট ও অন্যান্য জিনিসপত্র রাখা। পাকিস্তান এখনো পূর্ণম কুমার সাউ-এর ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু জানায়নি। একাধিক ফ্ল্যাগ মিটিং হলেও কোন প্রতিশ্রুতি মেলেনি। বিএসএফ সূত্র বলছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বিষয়টি ‘গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে’।এই ঘটনার পর বিএসএফ তাদের জওয়ানদের জন্য কড়া নির্দেশনা জারি করেছে—সীমান্তে টহলের সময় যেন বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখা হয়, অনিচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত পার হওয়া নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কৃষিকাজে নিয়োজিত কৃষকদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামের বাইরসান উপত্যকায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ভারতের দাবি, পাকিস্তান এ ধরনের সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে। এর জবাবে ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত, ভিসা বাতিল, বাণিজ্য ও আকাশপথ বন্ধসহ একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনার পর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সম্পূর্ণ অভিযানে স্বাধীনতা’ দেন বলে জানা গেছে।