য়াসায় দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫০ জনকে নিয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আমজনতার দল।আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান।তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর এত বড় আঘাত এর আগে কেউ করেনি। বিধিবহির্ভূতভাবে ১৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা এবং সমন্বয়করা।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার পিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে দিয়ে এই নিয়োগের সিংহভাগ সুপারিশের মাধ্যমে দিয়েছেন। আরেক উপদেষ্টা নাহিদও ওয়াসায় সুপারিশ করে নিয়োগ দিয়েছেন।’তিনি বলেন, ‘নাম রয়েছে নুসরাত তাবাসসুমের, তৌহিদের, নাজমুলের। স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে নিয়োগ না দিয়ে স্বজনপ্রীতি, ঘুষ এবং অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এই নিয়োগ সম্পন্ন করেছে উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা।কোটার বিরুদ্ধে লড়াই করে এভাবে নিয়োগ প্রত্যাশা করি না।সংবাদ সম্মেলন চলাকালে তিনি বলেন, ‘ছাত্র উপদেষ্টাদের এমন নিয়োগ জালিয়াতি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পাশাপাশি নৈতিকতা পরিপন্থী। এই নিয়োগ জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় আসিফ মাহমুদ ও তার পিএসকে বহিষ্কার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক কর্তৃক তদন্ত করতে হবে।
তারেক বলেন, ‘সচিবালয় ও সরকারি অফিস থেকে ছাত্র প্রতিনিধি নামে কর্তৃত্ববাদী সমন্বয়কদের অপসারণ করতে হবে। সবিচদের দুই পাশে আমরা যে শিশুসচিব দেখি তাদের সরাতে হবে। মংলা বন্দর শ্রমিক সংঘের প্রধান উপদেষ্টার পদ হতে হান্নান মাসুদ ও অন্যান্য সমন্বয়কদের অপসারণ করতে হবে।’ ব্যবস্থা না নিলে আমজনতার দল দুর্বার আন্দোলনে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।