বাংলাদেশি আম উৎসবের (আল হাম্বা প্রদর্শনী) প্রথম সংস্করণ বুধবার কাতারের সৌক ওয়াকিফের পূর্বাঞ্চলীয় চত্বরে শুরু হয়েছে। বেসরকারি প্রকৌশল অফিস এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রজাতির আম এবং তাজা ফল প্রদর্শিত হচ্ছে।
বেসরকারি প্রকৌশল অফিস-এর প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল-নামা বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।জানা গেছে, আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত চলমান এই প্রদর্শনীতে আম্রপালি, ল্যাংড়া, কাটিমন, খিরসাপাত, ফজলি, গোপালভোগ, হাড়িভাঙ্গা, বানানা আম, হিমসাগর এবং লক্ষণভোগের মতো বিখ্যাত বাংলাদেশি আমের বিভিন্ন জাতের প্রদর্শনী করা হবে।এ ছাড়াও লিচু, কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, পেয়ারা,মোটলেয়ানা এবং আনারস বিক্রি হচ্ছে। প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে।প্রদর্শনীর সাধারণ তত্ত্বাবধায়ক খালিদ সাইফ আল-সুওয়াইদি বলেন, বাংলাদেশের আম পাকার মৌসুমের সঙ্গে মিল রেখে প্রথমবারের মতো এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার লক্ষ্য অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করা। এই প্রদর্শনীটি উদযাপন কমিটি এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে যৌথ পরিকল্পনার ফলাফল, যাতে বাংলাদেশি এবং স্থানীয় উভয় কোম্পানিকে একটি বিশিষ্ট বাণিজ্যিক পরিবেশে তাদের পণ্য প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা যায়।তিনি জনসাধারণকে বাংলাদেশি আমের স্বাদ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। প্রদর্শিত অনেক আমের জাত স্থানীয় বাজারে প্রথমবারের মতো তোলা হচ্ছে।আল-সুওয়াইদি আমের চারা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ বেশ কয়েকটি কোম্পানির অংশগ্রহণের কথাও তুলে ধরেন। যা উৎপাদনের উদ্দেশ্যে আম চাষে আগ্রহী স্থানীয় নাগরিক এবং কৃষকদের আকর্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।