কুমিল্লায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বাসসের প্রতিনিধি কামরুল হাসান।
অভিযুক্ত শিক্ষক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ। মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচারের বিচার চেয়ে অভিযুক্ত মুতাসিম বিল্লাহর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগও দিয়েছেন কামরুল হাসান।এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক, পেশাজীবী ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।জানা যায়, গত ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুতাসিম বিল্লাহ। এ সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে তার নিজ উপজেলার আঞ্চলিক সংগঠন ফুল দিতে চাইলে শিক্ষক মুতাসিম বিল্লাহ বারবার ডাকব-ডাকছি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।এক পর্যায়ে উপদেষ্টার বক্তব্য শেষে আঞ্চলিক সংগঠনের উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বাসসের প্রতিনিধি কামরুল হাসান মুতাসিম বিল্লাহর কাছে না ডাকার কারণ জানতে চান। তখন তিনি উপ-উপাচার্য নিষেধ করেছেন বলে জানান। এ সময় তাকে পুনরায় উপ-উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে বলায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার দিয়ে বলে ‘হু আর ইউ’। বিষয়টি তাৎক্ষণিক কর্তব্যরত সব সাংবাদিকের দৃষ্টিগোচর হয়।পরে ওই দিন সন্ধ্যায় শিক্ষক মুতাসিম বিল্লাহ সাংবাদিক কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে প্রক্টর বরাবর লিখিত মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি শুধু অভিযোগ দায়ের করেই ক্ষান্ত হননি, তার অনুসারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে থাকে। এমনকি বিভিন্ন কমেন্টে হুমকি, ম্যাসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপে ও প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক কামরুল হাসান।এর আগে তিনি গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শিক্ষক মুতাসিম বিল্লাহর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগও করেন।অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক মুতাসিম বিল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক কামরুল প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি একজন উপ-পরিদর্শকের কাছে ন্যাস্ত করা হয়েছে।