সুস্থ থাকতে মানুষ স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। তবে ক্ষুধা যদি কমে যায় তবে সেটি শরীরের কিছু খারাপ লক্ষণ হতে পারে। প্রায়ই মানুষ এটাকে স্বাভাবিক ভেবে উপেক্ষা করেন। কিন্তু কয়েক দিন ধরে একটানা ক্ষুধা না পাওয়া শরীরে পুষ্টির অভাবের লক্ষণ হতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরের এই সমস্যা ভিটামিনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে কোন ভিটামিনের অভাবে ক্ষুধাভাব কমে যায়, তা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
যে ভিটামিনের অভাবে ক্ষুধাভাব কমে
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন বি১ অর্থাৎ থায়ামিনের অভাব ক্ষুধা কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে। এই ভিটামিন পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং খাবার থেকে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।এর অভাবের কারণে বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং ক্ষুধা কমে যায়। থায়ামিনের তীব্র ঘাটতি বেরিবেরি নামক একটি রোগও সৃষ্টি করতে পারে, যা দুর্বলতা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা হ্রাসের কারণ হতে পারে। থায়ামিনের অভাব বিরক্তি, হাত ও পায়ে অসাড়তা, পেশি দুর্বলতা, ক্লান্তি ও মানসিক বিভ্রান্তির মতো লক্ষণগুলোর কারণ হতে পারে।
যাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়
থায়ামিনের ঘাটতি বিশেষ করে বয়স্ক, গর্ভবতী নারী, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনকারী এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়।এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত চেকআপ ও সঠিক ওষুধের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখা যেতে পারে। ক্ষুধার্ত বোধ করা শরীরের ভালো বিপাক এবং পুষ্টির স্তরকেও নির্দেশ করে।
ঘাটতি এড়াতে কী করবেন
থায়ামিনের ঘাটতি এড়াতে খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আস্ত শস্যদানা, বাদামী চাল, ওটস, মসুর ডাল, বিন, সূর্যমুখী বীজ, ডিম, মটরশুঁটি ও বাদামের মতো খাবার থায়ামিনের ভালো উৎস। এ ছাড়া দুধ ও অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্য ভিটামিন বি১ সরবরাহে সাহায্য করে।সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীর সহজেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।কারো যদি থায়ামিনের তীব্র ঘাটতি থাকে এবং শুধু খাবার দিয়ে তা পূরণ করা সম্ভব না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন বি১ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।খিদে না পাওয়া থায়ামিনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবের লক্ষণ হতে পারে। সময়মতো চেকআপ করিয়ে এবং সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করে, সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া এবং শরীরকে সুস্থ রাখা যেতে পারে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..