হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘদিন ধরে পেটের ক্যান্সার, হৃদযন্ত্রে পেসমেকার, একটি কিডনি অচলসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন এই অভিজ্ঞ অভিনেত্রী। শেষ ছয় মাস তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। প্রায় সাত দশকের অভিনয়জীবনে থিয়েটার, সিনেমা ও টেলিভিশন সব ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বাসন্তী চ্যাটার্জি। মাত্র পনেরো বছর বয়সে অভিনয় জগতে পা রাখা এই শিল্পী একসময় কাজ করেছেন উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, ছবি বিশ্বাসের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের সঙ্গে।‘ঠগিনী’, ‘আমি সে ও সখা’সহ বেশ কিছু সিনেমাতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকে ‘ব্রজবালা দেবী’ চরিত্রে তাকে শেষবারের মতো পর্দায় দেখা যায়।গত এপ্রিলেও তিনি শুটিং সেটে ফিরেছিলেন। তবে পাঁজরের চোটের পর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে।অসুস্থতার মধ্যেও চিকিৎসার খরচ জোগাতে তাকে অভিনয় চালিয়ে যেতে হয়েছিল। মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা ওষুধ, সঙ্গে দামি ইনজেকশনের খরচ তাকে নিজেকেই বহন করতে হয়েছে। মেয়ে বিবাহিত হওয়ায় দেখাশোনায় সীমাবদ্ধতা থাকলেও সহকর্মী ও প্রযোজকদের সহযোগিতা তিনি পেয়েছিলেন।সহ-অভিনেতা ভাস্বর চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, শেষ দিকে প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছিলেন বাসন্তী চ্যাটার্জি। এক সময়ে প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও টলিপাড়ার বহু শিল্পী তার চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।মৃত্যুর সময় বাড়িতে তার পাশে ছিলেন গৃহসহায়িকা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে তার যত্ন নিয়েছেন। টলিউডে এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহকর্মী, অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন, স্মরণ করছেন তার শিল্পীজীবনের অসংখ্য স্মৃতি।