চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্ত্র, গোলা-বারুদসহ মদ্যপ অবস্থায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের এক সদস্যকে আটকের পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের হাতে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। পরে তাকে কম্পানি কামন্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করেছে বিজিবি। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ সদস্যের অস্ত্র-গোলাবারুদসহ মদ্যপ অবস্থায় বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের কড়া প্রতিবাদ জাননো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
স্থানীয় ও বিজিবি সূত্র জানায়, আজ বুধবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নারায়নপুন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাতরশিয়া গ্রামে পোশাকধারী একজন বিএসএফ সদস্যকে একটি ৫.৫ এম.এম রাইফেলসহ প্রথমে আটক করে গ্রামবাসী।আটকের পর তাকে একটি কলাগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। সকাল ৭টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) এর জোহরপুর বিওপি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বিএসএফ সদস্যকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।সূত্র জানায়, সিনিয়র কনস্টেবল গনেশ মুর্তি (৪৩) নামের ওই বিএসএফ সদস্য তারকাঁটাবিহীন সীমান্তে গবাদিপশুর পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন।বিজিবি জানায়, মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৯/৭ এস এর নিকট ঘটনাটি ঘটে।ওই বিএসএফ সদস্য ৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নূরপুর ক্যাম্পে কর্মরত।৫৩ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যন্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক বিএসএফের ওই জওয়ানকে নিরাপদে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই জওয়ান বাংলাদেশের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিলেন।’ ওই বিএসএফ সদস্য যে অবস্থায় যেভাবে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিলেন তাতে তিনি যেকোনো অঘটন ঘটাতে পারতেন বলেও জানান তিনি।নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে শূন্যরেখার পাশে এখন এমনকি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাতেও গরু-ছাগল চরতে যান না স্থানীয়রা। কখনো গেলেও বিএসএফ মাঝে মাঝে তাড়া করে।’২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রমজান আলী বলেন, ‘ওই বিএসএফ সদস্য মদ্যপ, ক্ষিপ্ত অবস্থায় গালি দিতে দিতে বাংলাদেশের প্রায় আড়াইশ গজ ভেতরে ঢুকে পড়লে গ্রামবাসী ও মাঠে অবস্থানরত রাখালরা তাকে আটক করে। তার মতিগতি ভাল ছিল না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে যে, সে গুলি চালাতেও প্রস্তুত ছিল।