চাঁদাবাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীর আধিপত্যের কারণে বাজারে সবজির দাম বাড়ছে। অন্যদিকে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মূল্য থেকে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে দরকার কার্যকর নজরদারি।ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।কৃষক, ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন করেছে ট্যারিফ কমিশন।
সবজির বাজারের সমস্যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও পাঠিয়েছে কমিশন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষকের কাছ থেকে কম দামে পণ্য কিনে তা বেশি দামে বিক্রি করে মধ্যস্বত্বভোগীরা। পাশাপাশি বাজার ও পরিবহনকেন্দ্রিক চাঁদাবাজিতে সরবরাহের সময় বাড়তি টাকা দিতে হয় আড়তদারকে।যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সবজির বাজারে।সরকারের সুষ্ঠু কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিমালা হলেও কার্যকর সমন্বয়ের অভাবে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।একজন বিক্রেতার অভিযোগ তুলে ধরেছে কমিশন। বিক্রেতা বলেন, ‘চাঁদাবাজি জিনিসটা একদমই ভালো না।কারণ এটার জন্য অনেক অশান্তি হয়। পরিবহন ভাড়া বেড়ে যায়, তরকারির খরচ বেড়ে যায়। দেখা যায় গাড়িতে করতে আসতে আসতে একে দিতে হয়, ওকে দিতে হয়। ফলে ভাড়া বেশি পড়ে যায়।’অন্যদিকে একজন ক্রেতার বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘মানুষের ওরকম আর্নিং সোর্স নাই।ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা। চাকরির ক্ষেত্রেও তেমন ভালো কোনো অবস্থা নেই। সব জায়গায় মন্দা। তার মধ্যে যদি এরকম হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব?’সঠিক বাজার তদারকির পাশাপাশি সবজি উৎপাদন এলাকায় আধুনিক হিমাগার তৈরির সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..