গত বছরের ৪ আগস্ট ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা, মারামারি, ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৬ (ঠ) ধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে পদচ্যুতির সুপারিশ করে, যা সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়।অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন—চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের ডা. মো. রিয়াদ সিদ্দিকী, পেইন্টার নিতীশ রায়, ড্রাইভার সুজন বিশ্বশর্মা, সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানীসহ আরো অনেকে।একই ঘটনায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আরো ২৩ চিকিৎসককে শনাক্ত করা হয়।এদের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরও চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন কিডনি প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, নিউরোলজির অধ্যাপক ডা. মো. আহসান হাবিব, ক্লিনিক্যাল অনকোলজির অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, এবং আরো অনেকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহুরুল হকের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গ করে পদোন্নতির আবেদন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকেও চাকরিচ্যুত করার সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযোগকারী ছিলেন একই বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাসিমা আখতার।সিন্ডিকেট সভা চলাকালে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার, গালাগাল এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ৯ চিকিৎসক ও ১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাদের তিরস্কার ও সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।বৈষম্যের শিকার কর্মচারীদের স্বীকৃতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার ২২ জন কর্মচারীকে ভুতাপেক্ষাভাবে সব আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৯৬ জনের চাকরি স্থায়ী এবং ২২ জনের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।যাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে, তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে নেওয়া হবে।’