সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবাই গ্রামের রাস্তা ধরে গায়ে পাঞ্জাবি জড়িয়ে মাথায় টুপি দিয়ে আসছেন সাজিদের বাড়ির দিকে। তারা একবার দেখতে চায় সেই নিষ্পাপ মুখটা, যে মুখে প্রতিদিন হাসি ছিল, আজ সেখানে নিস্তব্ধতা।জানাজার মাঠে মানুষের ঢল নামে খুব সকাল থেকেই। গ্রামের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী সবার চোখ ভিজে যায়।কেউ কেউ ফিসফিস করে বলে ওঠেন- ‘আল্লাহ, এমন মৃত্যু কেউ না পাক’।সাজিদের ছোট্ট দেহটি যখন সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় আনা হলো, তখন কান্নার রোল পড়ে গেল চারপাশে। তার মা-বারবার ছুটে আসতে চাইছিলেন- করছেন আহাজারি। লোকজন ধরে রেখেছিল তাকে, কিন্তু কান্না থামাতে পারেনি কেউ।জানাজার নামাজের ইমামতি করেন, কাজী মাওলানা মিজানুর রহমান। ইমাম সাহেব জানাজা শেষে যখন তাকবির দিলেন, মানুষ হাত তুলল দোয়ার ভঙ্গিতে। হাজারো কণ্ঠে দোয়া অনুষ্ঠিত হলো। সবাই সাজিদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেন। একই সঙ্গে তার পরিবারকে আল্লাহ ধ্যর্য ধরার তৌফিক দান করেন এমন দোয়াও সবাই করেছেন।জানাজা শেষে সাজিদের ছোট্ট কফিনটা যখন কবরের দিকে নেওয়া হলো, তখন বাতাস যেন থেমে গেল, শুধু শোনা যাচ্ছিল কান্নার শব্দ। কান্না করছেন স্বজনরা। একটি শিশুর জানাজায় অংশ নিয়েছে পুরো গ্রামের মানুষ, এমন দৃশ্য কেউ কখনো দেখেনি গ্রামবাসী।