ভালো থাকার জন্য আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। একটি অঙ্গ অন্য অঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কিত। যার ফলে এক অঙ্গে সমস্যা হলে অন্য অঙ্গেও এর প্রভাব পড়ে। আমাদের ত্বক, চুল ও নখ দেখে অনেক রোগ শনাক্ত করা যায়।একই সঙ্গে চোখের বিশেষ সমস্যা ও লক্ষণগুলোও অনেক রোগের দিকে ইঙ্গিত করে। সময়মতো সেগুলো শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
যেমন— চোখের হলুদ ভাব লিভারের ক্ষতি নির্দেশ করে। একইভাবে আপনি যদি চোখের এই সমস্যাগুলো থেকে রোগটি শনাক্ত করেন।
বেশিরভাগ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিন দেখার কারণে শুষ্ক চোখের সমস্যার সম্মুখীন হন। তবে এর বাইরে যারা হরমোনের পরিবর্তন বা অটোইমিউন রোগের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদেরও চোখের শুষ্কতার সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় পরিবেশ দূষণ বা কিছু ওষুধের কারণেও শুষ্ক চোখের সমস্যা দেখা দেয়।
চোখের নিচের অংশ হলুদ হওয়া
চোখের নিচের অংশ যেখানে আমরা কাজল লাগাই।যদি এর ভেতরে হলুদভাব দেখা যায় এবং এই জায়গাটি হালকা গোলাপি রঙের না হয়, তাহলে এর অর্থ হলো রক্তের অভাব, ভিটামিন বি১২ এর অভাব বা শরীরে পুষ্টির অভাব। কিছু নারীদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে এটি দেখা যায়। কিডনি রোগে নিচের ল্যাশ লাইনের ভেতরের অংশ হলুদ দেখাতে শুরু করে।
কর্নিয়ার চারপাশে রিং
যদি চোখের ভেতরে কর্নিয়ার চারপাশে রিংয়ের মতো গঠন তৈরি হয়, তবে এটি উচ্চ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধির কারণে হয়। অনেক সময় এটি বার্ধক্য বা হৃদরোগের কারণেও দেখা যায়।
ভিটামিন এ-এর অভাবের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। অথবা কোনো নির্দিষ্ট ধরনের জিনগত ব্যাধি বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার কারণে, রাতে দেখা বন্ধ হয়ে যায়।
চোখের হলুদ ভাব
যদি চোখের সাদা অংশে হলুদ ভাব দেখা যায়, তবে এটি লিভার সঠিকভাবে কাজ না করার ইঙ্গিত দেয়, পিত্তথলিতে বাধা বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা নির্দেশ করে। চোখে ফোলাভাব যদি চোখের ওপরে ফোলাভাব দেখা যায়, তবে এর কারণ হাইপারথাইরয়েডিজম। অথবা কখনো কখনো প্রদাহজনিত রোগের কারণে চোখের ওপরে ফোলাভাব দেখা দেয়।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..