এ সময় দেখা যায়, শাহবাগ চত্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, পশ্চিমে কাটাবন ও পূর্বে মত্স্য ভবন পর্যন্ত যতদূর চোখ যায়, ততদূর পর্যন্ত সড়কে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। এই সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেয়। অনেক নেতাকর্মী ছাত্রদলের লোগো লাগানো টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে সমাবেশে অংশ নেন।সমাবেশ শেষে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের বোতল, পতাকা, ব্যানারসহ আবর্জনা পরিষ্কার করেন। এ সময় তাঁরা স্লোগান দেন, ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ২০২৪ সালের স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধসহ এযাবত্কালে ফ্যাসিবাদ পতন কিংবা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, দল-মত-নির্বিশেষে আমি আল্লাহর দরবারে সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সব শহীদের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হয়েছে।বাংলাদেশ এখন একটি পরিণত দেশ। এই পরিণত বাংলাদেশের জনগণ আর বিভেদ-বিরোধ-প্রতিহিংসা-প্রতিশোধের রাজনীতি চায় না। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ কারণেই জনগণের কাছে সেভাবে জবাবদিহি করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তারা রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চায়। সুতরাং আসো (ছাত্রদলকে) কথামালার রাজনীতি নয়, বরং আমরা শুরু করি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি।’তিনি বলেন, ‘জনগণের জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিতে হবে। ভবিষ্যত্ বাংলাদেশে এই ভূমিকা কে নেবে? আজকে যারা তোমরা এখানে উপস্থিত হয়েছ, তাদের নিতে হবে। তোমরাসহ তোমাদের সহপার্টি, সহকর্মী যারা সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, তোমাদের সেই ভূমিকা পালন করতে হবে। সেটি জ্ঞান-বিজ্ঞানে হোক, শিক্ষা-দীক্ষায় হোক, মেধা মননে হোক। তোমাদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। শুধু নিজেদের গড়ে তুললে চলবে না, পাশাপাশি বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। সেই মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিএনপি আগামী দিনের নীতি, ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ, উচ্চ মানবিকতা, মানবিক মানুষ গড়ার রাজনীতি শুরু করতে চায়। বিএনপির আগামী দিনের নীতি কর্মসংস্থান সৃষ্টি আর নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার রাজনীতি।’তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোকছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তারেক রহমান বলেন, ‘মন দিয়ে শোনো, প্রথমবার আমি তোমাদের সেই আহ্বানের কথা বলব। তারপর তোমরাও বলবে। কী সেই আহ্বান? তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক। আসো আমরা আজকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। ভবিষ্যত্ বাংলাদেশ, শহীদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন, নিজেদের যোগ্য করার জন্য যা যা প্রয়োজন তোমরা তা সবাই গ্রহণ করবে। এই হোক আজকের প্রতিজ্ঞা।’
ভোটাধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠার বিরাট সুযোগ : তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের প্রায় ১৩ কোটি ভোটারের মধ্যে গত দেড় দশকে ভোটার তালিকায় এ পর্যন্ত প্রায় চার কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। তোমরা ভোটার হলেও ফ্যাসিবাদচক্র তোমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সামনে জাতীয় নির্বাচন এবং এই জাতীয় নির্বাচনে তোমাদের হারানো ভোটের অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠার এক বিরাট সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিএনপির গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে গত দেড় দশকে ভোট প্রয়োগের অধিকার বঞ্চিত প্রায় চার কোটি ভোটারসহ আমি সবার সমর্থন এবং সহযোগিতা চাই।’
নবীন-প্রবীণ মিলে দেশ গড়তে হবে : তারেক রহমান শিক্ষাব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন, কর্মসংস্থানভিত্তিক শিক্ষা, যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, ই-কমার্স, আউটসোর্সিং, উচ্চশিক্ষায় মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলা, বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগসহ বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।তিনি বলেন, ‘সারা দেশের শিক্ষার্থী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং তরুণ প্রজন্মের ভাই-বোনেরা তোমাদের এই সমাবেশে এবং তোমাদের মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষার্থী এবং তরুণ প্রজন্মের সামনে বিএনপির গৃহীত কয়টি প্ল্যান প্রোগ্রাম তুলে ধরার অবশ্যই একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটি হলো আমাদের প্রত্যেকেরই মা রয়েছেন। একজন মায়ের চোখে বাংলাদেশ যেমন অর্থাত্ আগামী দিনে আমরা নবীন ও প্রবীণ সবাই মিলে তেমন একটি বাংলাদেশ করতে চাই। একজন মায়ের চোখে যেমন বাংলাদেশ নবীন ও প্রবীণ সকলে মিলে তেমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’
উগ্রপন্থা ঠেকাতে সচেতন থাকতে হবে : তারেক রহমান ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের সব শিক্ষার্থী এবং তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আজকের এই তারুণ্য, আজকের এই শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ চরম পন্থার উত্খাত কিংবা পুনর্বাসন চরমপন্থার উত্থান কিংবা পুনর্বাসন ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে, সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে যার আহ্বান আজকের এই সমাবেশের সভাপতি (ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব) সবাকে দিয়ে গেছে।’
ক্যাম্পাসগুলো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছিল : বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘হাতের বাঁ পাশে অর্থাত্ মঞ্চে যাঁরা বসে আছেন, তাঁদের ডান পাশে মঞ্চের সামনে তোমরা যাঁরা বসেছ তোমাদের হাতের বাঁ পাশে ঐতিহাসিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, ফ্যাসিবাদ শাসন আমলের ভিন্ন দল ভিন্ন মতের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোকে সেই সময় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছিল। বর্তমানে যারা এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদের সামনে এই ক্যাম্পাসকে জ্ঞানচর্চা এবং গবেষণার একটি নিরাপদ ভূমি হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। তোমাদের যারা উত্তরসূরি শিক্ষার্থী তাদের মনের ভেতরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমি সরাসরি কথা বলেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনে আবাসিক হলগুলোতে বসবাস এবং খাবারের মান বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে হলগুলোতে বিদ্যমান সমস্যা এবং সমাধানের একটি লিখিত প্রস্তাব বিএনপির কাছে উপস্থাপনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি। একইভাবে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে সুপারিশসহ রিপোর্ট তৈরি করার জন্য এরই মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে ছাত্রদলের সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
শেখ হাসিনাকে আর কোনো দিন রাজনীতি করার সুযোগ দেব না— মির্জা ফখরুল : একই সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে গোটা বাংলাদেশের মানুষ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের অপেক্ষা করছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে আমাদের বিভক্ত করার জন্য। আমাদের পাশের দেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে মাঝে মাঝে হুমকি দিচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আর কোনো দিন রাজনীতি করার সুযোগ দেব না।’
ছাত্রদল সভাপতির ৯ দফা প্রতিশ্রুতি : ২৪-এর ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণে ৯ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গতকাল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে এই ৯ দফা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। প্রতিশ্রুতিগুলো হলো—এক. শিক্ষাঙ্গনে গেস্টরুম নির্যাতন, গণরুম সংস্কৃতি, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করে এবং রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের মতো ঘৃণিত চর্চার স্থায়ী বিলোপ সাধন এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ছাত্রদল সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। দুই. ক্যাম্পাসে ও আবাসিক হলে প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ আবাসন, পুষ্টিকর খাদ্য, বাসযোগ্য কক্ষ এবং পড়াশোনার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ছাত্রদল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।তিন. ধর্ম-বর্ণ-জাতিসত্তা, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি জনকল্যাণমুখী, পরমতসহিষ্ণু, উদার এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মী নিবেদিত থাকবে। শিক্ষাক্ষেত্রে এবং রাষ্ট্র গঠনের সব পর্যায়ে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং নারীদের জন্য শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্রদল জোরালো উদ্যোগ নেবে।চার. স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থের সুরক্ষা এবং জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, আধিপত্যবাদবিরোধী এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী চিন্তার সন্নিবেশনে রাষ্ট্রকর্তৃক বাংলাদেশপন্থী সর্বজনীন শিক্ষানীতি ও পাঠক্রম প্রণয়নের লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে ছাত্রদল।পাঁচ. বেকারত্ব দূর করতে রাষ্ট্র কর্তৃক কর্মমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে ছাত্রদল জোরালো উদ্যোগ নেবে। পাশাপাশি সব শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব ধরনের একাডেমিক এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধ এবং এসব পরীক্ষাব্যবস্থাকে দুর্নীতি ও জালিয়াতিমুক্ত করতে ছাত্রদল সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।ছয়. মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ছাত্রদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।সাত. ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৬৯, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর; ১৯৯০ এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাত্পর্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভাবধারার সাংস্কৃতিক চর্চা বেগবান করার লক্ষ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে ছাত্রদল।আট. শিক্ষাঙ্গনগুলোতে শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ছাত্রদল জোরালো ভূমিকা রাখবে।নয়. বাংলাদেশে যেন আর কখনো ঘৃণ্য ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে, সে লক্ষ্যে ছাত্রদল সদা সোচ্চার থাকবে এবং একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা নিশ্চিত করতে ছাত্রদল আপামর ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে নিরন্তরভাবে কাজ করে যাবে।ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসার মো. ইয়াহিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রদলের সাবেক নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আকরামুল হাসান, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।