বিধিমালা অনুযায়ী জুলাইযোদ্ধাদের প্রত্যেক শহীদ পরিবার মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে সঞ্চয়পত্র আকারে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হবে।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।তিনি বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির জুলাইযোদ্ধারা মাসে ২০ হাজার টাকা, ‘খ’ শ্রেণির জুলাইযোদ্ধারা ১৫ হাজার টাকা এবং ‘গ’ শ্রেণির জুলাইযোদ্ধারা ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন।এ ছাড়া শহীদ পরিবার এবং জুলাইযোদ্ধাদের ভাতা বাবদ সরকার প্রতি মাসে মোট ১৪ কোটি ৬৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করবে।৫ আগস্ট শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।চাকরিতে কোটা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই অনুসারে মন্ত্রণালয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।এই কার্যক্রমের মধ্যে ফ্ল্যাট দেওয়া বা চাকরিতে কোটা দেওয়া- এসব বিষয় নেই। পুনর্বাসনের কর্মসূচি আছে।’তিনি বলেন,‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের (গণ-অভ্যুত্থানে হতাহত) পুনর্বাসনের কর্মসূচিগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুসারে মন্ত্রণালয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।পুনর্বাসন নানাভাবে হতে পারে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি যেভাবে পুনর্বাসিত হতে চান বা আত্মকর্মসংস্থানের জন্য যদি হাঁস-মুরগি বা পশু পালন করেন, যেভাবে তিনি তার জীবিকা সংস্থান করতে চাইবেন সরকারের পক্ষ থেকে সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী এবং তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারি ৮৩৪ জন এবং ৩০ জুন আরো ১০ জন সর্বমোট ৮৪৪ জন শহীদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করে।আহত হওয়ার ধরন অনুসারে জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি শ্রেণিভুক্ত করে ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪৯৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে ‘ক’ শ্রেণিতে, ৯০৮ জনকে ‘খ’ শ্রেণিতে এবং ৪ এবং ৫ মার্চ ১ হাজার ৬৪২ জনকে ‘গ’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।সম্প্রতি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে ‘ক’ শ্রেণির ১১৪ জন, ‘খ’ শ্রেণির ২১৩ জন এবং ‘গ’ শ্রেণির ১৪৪২ জন সর্বমোট ১৭৬৯ জনের তালিকা পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই শেষে শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।