আসন্ন ডাকসু নির্বাচন-২০২৫-এ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের বিরুদ্ধে। প্যানেলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিদ হাসানের বিরুদ্ধে কনসার্ট ও স্ট্যান্ড-আপ কমেডির নামে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আড়ালে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অনিদ হাসান একের পর এক এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন, যা আপাতদৃষ্টিতে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম মনে হলেও এগুলো মূলত নির্বাচনী প্রচারণার অংশ। এসব অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপস্থিত থাকছে, যার মধ্যে রয়েছেন ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা এবং জিএস প্রার্থী আল সাদী ভূঁইয়া।আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের আচরণবিধির কথা জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীরা ২৫ আগস্ট পর্যন্ত হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২৬ আগস্ট থেকে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত ব্যক্তি অথবা সংগঠনের পরিচয়ে হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা কার্যক্রম চালানো যাবে। এতে আরো বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে সামাজিক, আর্থিক, সেবামূলক সহযোগিতা বা কার্যক্রম পরিচালনা, মজলিশ-মাহফিল আয়োজন কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা প্রাঙ্গণে প্রচার চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।এসব কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে এবং ‘নির্বাচন আচরণ বিধিমালা’–এর ধারা-১৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।আচরণবিধিতে মজলিশে বা বড় জমায়েত করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও হল ভর্তি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রচারণা চালাচ্ছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা।অভিযোগকারীরা বলছেন, অনিদ হাসানের এসব কর্মকাণ্ড নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।এ বিষয়ে ডাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।