অনুষ্ঠানে নির্ধারিত আলোচনায় রাজধানীর বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা কথা বলেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সালাম বলেন, ব্যবসায়ীরা নিয়মিত কর-ভ্যাট দিলেও বর্তমানে তাঁরা ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এক কথায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন।বাংলাদেশ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, স্থলবন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দালালের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করতে গিয়ে ব্যবসার ব্যয় বাড়ছে। মৌলভীবাজার এলাকায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে ট্রাকস্ট্যান্ড থাকায় বাবুবাজার ব্রিজে তীব্র যানজট হচ্ছে, ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীদের নগদ টাকা পরিবহনের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যাকালীন পুলিশি টহল বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল হাসেম বলেন, ‘মাঝেমধ্যে মহাসড়ক থেকে চিনির ট্রাক ছিনতাই হয়। ছিনতাইয়ের ভয়ে রাতে বাসা থেকে বের হতে পারি না, রিকশায় চড়তে পারি না। এই আতঙ্ক থেকে আমরা মুক্তি চাই।’মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, মোহাম্মদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এখানে ছিনতাইকারীরা পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়ায়। অভিযোগ দিলেও পুলিশ কাউকে আটক করে না।বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নেসার উদ্দিন বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের নৈরাজ্যে এখন জনজীবনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।এ ছাড়া সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি এম আবু হোরায়রাহ, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি সৈয়দ মোহাম্মদ বশির উদ্দিন, বাংলাদেশ মনিহারি বণিক সমিতির সহসভাপতি হাজি ফয়েজউদ্দিন, ধামরাই ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ঢাকা চেম্বারের পরিচালক এনামুল হক পাটোয়ারী, মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহায়মেনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।