এই অভিযানের মাধ্যমে পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করছে ওড়িশা পুলিশ।পুলিশ জানায়, ২০০১ সালের ৬ জুলাই গঞ্জাম জেলার চমকহান্ডি থানার অন্তর্গত কেরন্ডিটোলা গ্রামে একটি বিরোধের জেরে কাইবল্য প্রধান নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় উদয় প্রধান এবং তার দুই ভাই অভিযুক্ত ছিলেন। ঘটনার দিনই উদয়ের ছোট ভাই মুষা প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।তবে উদয় এবং তার বড় ভাই পঞ্চম প্রাধান গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান।গঞ্জামের পুলিশ সুপার শুভেন্দু পাত্র জানান, ‘উদয় প্রধানকে আগে গ্রেপ্তারের অনেক চেষ্টা করা হলেও সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তবে এবার নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল চেন্নাই গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।’চমকহান্ডি থানার ইনচার্জ সব্যসাচী মাল্লা জানান, উদয় প্রাধান চেন্নাইয়ের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে ‘গণেশ’ নাম ধারণ করে কাজ করছিল।হত্যাকাণ্ডের পর উদয় ও পঞ্চম প্রথমে বেঙ্গালুরু পালিয়ে যায়। পরে ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধের কারণে উদয় চেন্নাইতে চলে আসে। তবে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গ্রামেই থেকে যান। পুলিশ জানিয়েছে, উদয়ের বড় ভাই পঞ্চম এখনো পলাতক এবং তাকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, মুষা প্রাধান ইতিমধ্যে তার যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।