মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ আবারও আলোচনায় এসেছেন—তবে নতুন কোনো অ্যাপ বা প্রযুক্তিগত সাফল্যের কারণে নয়। এ বার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অল্টো শহরের ক্রিসেন্ট পার্ক এলাকায় তার রিয়েল এস্টেট কার্যক্রমের জন্য আলোচনায় তিনি। দ্য হিন্দুস্তান টাইমস বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।টানা কয়েক বছর ধরে চলা নির্মাণকাজে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধৈর্য চূড়ান্তভাবে পরীক্ষার মুখে পড়েছে।অবিরাম শব্দ, রাস্তা আটকে রাখা, উঁচু দেয়াল ও আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত নির্মাণকাজের ট্রাকগুলো অনেকের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করেছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত আট বছরেরও বেশি সময় ধরে জাকারবার্গ ও তার দল সেখানে ব্যাপক সংস্কার, ভাঙচুর ও নতুন বাড়ি নির্মাণের তত্ত্বাবধান করছেন। মোট ১১টিরও বেশি সম্পত্তি এতে জড়িত। এর মধ্যে কিছু বাড়ি খালি পড়ে আছে, আবার কিছু অতিথিশালা, বাগান বা বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।এ ছাড়া এলাকায় ভূগর্ভস্থ বাংকার’ নির্মাণের গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। যদিও জাকারবার্গ দাবি করেছেন, এগুলো কোনো ‘প্রলয়কালীন আশ্রয়কেন্দ্র’ নয়। স্থানীয়রা বলছেন, এসব নির্মাণ তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করেছে—শ্রমিক, ধ্বংসাবশেষ আর নিরাপত্তারক্ষী শান্ত রাস্তাকে পরিণত করেছে ভিড়াক্রান্ত এলাকায়।উদ্বেগ ও অভিযোগ বাড়তে থাকায় প্রতিবেশীদের শান্ত করতে জাকারবার্গ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, তিনি কখনো ডোনাটস, কখনো ঝকঝকে ওয়াইনের বোতল, আবার কখনো শব্দনিরোধক হেডফোন উপহার দিয়েছেন। বিশেষ করে সবচেয়ে কোলাহলপূর্ণ সময়ে তিনি এসব উপহার দেন। তবে এসব পদক্ষেপ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ উদ্যোগটিকে প্রশংসা করলেও অন্যরা মনে করছেন, কয়েক বছরের ধুলা, শব্দ আর অস্বস্তির বিনিময়ে এক জোড়া হেডফোন বা মাঝে মধ্যে দেওয়া উপহার একেবারেই যথেষ্ট নয়। কিছু প্রতিবেশী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..