নিষিদ্ধ সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে ছাত্রদল। পরে ছাত্রদলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশে সোপর্দ করে প্রক্টরিয়াল বডি।তাদের একজন হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আতাউল গণি টুটুল। অন্যজন হলেন- পদার্থ বিজ্ঞানের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টুটুল ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে চাকরি নেওয়া এবং সে ছাত্রলীগের পদে থাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কাঁঠাল তলার সামনে মারধর করে। পরবর্তীতে প্রক্টর অফিসে রেখে দেয়।অপরদিকে অভিযুক্ত আকরাম হোসেন মাস্টার্সের সার্টিফিকেট তুলতে ক্যাম্পাসে এলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়।অভিযুক্ত আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে মাস্টার্সের সার্টিফিকেট তুলতে আসি। তখন আমায় নিয়ে আসে। আমি প্রথম বর্ষে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।ওই সময় ছাত্রলীগ নেতারা জোর করে সবাইকে নিয়ে গেলে আমিও গেছিলাম। এরপর আর কিছু করিনি। আমার কোনো পোস্ট পদবি ছিল না।তবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দাবি, প্রথম বর্ষে থাকাকালীন সময়ে আকরাম হোসেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মারধর করেছে। তাদের একজনকে জবির আন্ডারগ্রাউন্ডে পিটিয়ে হত্যা করেছে।তারই ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। শামসুল আরেফিন বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হামলা করা হয়েছে। অতীতে হামলার কারণে দুজন ছাত্রলীগ আটক করে ভিকটিম ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। তাদের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে বুঝিয়ে দেয়। প্রক্টরিয়াল বডি তাদের থানায় হস্তান্তর করে। এখন থানার আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) বাহাউদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি থেকে দুজনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার ভিত্তিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান জুয়েল বলেন, এক ছাত্রলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী ও আরেক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে শাখা ছাত্রদল। তাদের দেওয়া লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..