হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্ধ হওয়া বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্মশালা (হিমাচল প্রদেশ), লেহ, জম্মু ও শ্রীনগর (জম্মু ও কাশ্মীর), অমৃতসর (পাঞ্জাব), বিকানের (রাজস্থান) এবং হিন্দন (দিল্লি এনসিআর)। ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মতো ভারতের শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের যথাযথভাবে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করতে এবং ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা যাচাই করতে নির্দেশনা দিয়েছে।স্পাইসজেট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কারণে উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর যেমন ধর্মশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর এবং অমৃতসরে বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে সব ধরনের ফ্লাইটে প্রভাব পড়তে পারে।’ইন্ডিগো জানিয়েছে, ‘বিকানের বিমানবন্দরেও বিমান চলাচলে প্রভাব পড়েছে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে ফ্লাইটের অবস্থা জেনে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘আমরা জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে ও গন্তব্যে সব ফ্লাইট ৭ মে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাতিল করেছি। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।’এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অমৃতসরগামী দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে দিল্লিতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পর্যটন এলাকা পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ি করে আসছিলো দেশটি।তবে পাকিস্তান বরাবরই এই হামলায় সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে এসেছে। এর মাঝেই মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এই অভিযান চালালো ভারত। এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে ভারতের উপর পাল্টা হামলা চালানো শুরু করেছে পাকিস্তান।