পাবনা শহরে দিনে-দুপুরে গৃহকর্মীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির সময় বাড়ির মালিক আসলে তাকেও মারধর করে মাথা ফাঁটিয়ে দেয় ডাকাতরা। রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের শিবরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জহরলাল বসাক তুলসি জেলা শহরের শিবরামপুরের বাসিন্দা।তিনি পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজের পদার্থ বিদ্যার সাবেক শিক্ষক।ভুক্তভোগী শিক্ষক ও গৃহকর্মী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর শহরের শিবরামপুরের বাসায় একাই থাকতেন অধ্যাপক জহরলাল বসাক তুলসি। রবিবার বিকেলে বাসায় ছিলেন না তিনি। এদিকে রান্নাঘরে কাজ করছিলেন বাসার গৃহকর্মী আলো রানি দাস।এসময় খোলা থাকা বাসার পেছন দিকের দরজা দিয়ে মুখে কাপড় বেঁধে দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর আলো রানি দাসের হাত-পা ও মুখ বেঁধে রান্নাঘর থেকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। পরে বাসার আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে টাকা, গহনা ও অন্যান্য সম্পদ খুঁজতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর বাসার মালিক অধ্যাপক জহরলাল বসাক তুলসি সামনের দরজা দিয়ে বাসায় প্রবেশ করলে তার গলা চেপে ধরে মারধর করা হয়।এরপর হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাতের পর তার ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।বাড়ির মালিক অধ্যাপক জহরলাল বসাক তুলসি বলেন, আমি বাড়ি ছিলাম না। তারা দুজন ছিল। ঢুকে আলমারি ভাঙছে, বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজে কিচ্ছু পায় নাই। আমি জিডি করব।গৃহকর্মী আলো রানি দাস বলেন, আচমকা দুজন লোক দেখে চিৎকার দেবার সঙ্গে সঙ্গে আমার মুখ আটকে ধরে। পরে মুখ স্কসটেপ দিয়ে আটকে দেয় এবং হাত-পা বেঁধে অন্য রুমে ফেলে রাখে। এরপর তারা সারা বাড়ি ভাঙচুর ও তল্লাশি চালায়। পরে স্যার আসে। কি নিছে এখন কিছুই বলতে পারব না। দিনে-দুপুরে এ ধরনের ঘটনায় খুবই ভয় পাইছি।এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিদর্শনে এসপি স্যারও আসছেন। সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করছি। তবে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে, ঘটনায় জড়িত দুজন কিশোর গ্যাংয়ের। তারা মাদকাসক্ত। তারা হয়তো ভেবেছিল, বাসায় অনেক কিছু আছে। কিন্তু কিছু না পেয়ে ফোনটা নিয়ে গেছে। জড়িতদের ধরতে কাজ চলছে।