গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুষদের মধ্যে ধূমপান, অ্যালকোহলের প্রতি আসক্তি, অনিয়মিত জীবনযাপন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি।যার ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে একের পর এক রোগ। বিশেষত ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইথিওপিয়া ও ইকুয়েডরের মতো দেশে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত পুরুষের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গবেষকদের মতে, ৩০ বছর বয়স পার হওয়ার পর থেকেই পুরুষদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। বহু ক্ষেত্রেই রোগ নির্ধারণ দেরিতে হচ্ছে, ফলে অনেককেই নিয়মিত ইনসুলিন গ্রহণ করতে হচ্ছে।এইচআইভি বা এইডস সংক্রমণের ক্ষেত্রেও মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যাই বেশি। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চিলি, আমেরিকা ও ইতালিসহ ৭৬টি দেশে চালানো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরুষদের মধ্যে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক, একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং সচেতনতার অভাব থেকেই বাড়ছে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই তরুণ।হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, এশিয়ার দেশগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।তার মধ্যে ভারতের অবস্থান শীর্ষে। আইসিএমআরের তথ্য বলছে, শহর তো বটেই, গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক হারে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা। ২০–৩০ বছর বয়সি যুবকদের মধ্যেও প্রতি ১০ জনে ১ জন আক্রান্ত হচ্ছেন হাইপারটেনশনে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সচেতনতা, স্বাস্থ্যপরীক্ষার প্রতি নজর ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনাই একমাত্র উপায় এই প্রবণতা ঠেকানোর।