অভিবাসী রোধ ও যুদ্ধক্ষতিপূরণ দাবি
একাডেমিক পটভূমি ও পেশাগত জীবন
বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত গদানস্ক শহরে জন্ম নেওয়া নাওরোকি ছোটবেলায় বক্সিং ও ফুটবলের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। পরে ইতিহাসে পিএইচডি এবং এমবিএ করেন। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি গদানস্কের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক ছিলেন। এরপর ‘ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল রিমেমব্রান্স’-এর নেতৃত্বে আছেন। তার গবেষণার বিষয় কমিউনিস্ট আমলের অপরাধ, পোল্যান্ডের প্রতিরোধ আন্দোলন ও ক্রীড়া ইতিহাস। ২০২৪ সালে পোল্যান্ডে সোভিয়েত-যুগের একটি স্মৃতিস্তম্ভ অপসারণের পর রাশিয়া তাকে তাদের ‘ওয়ান্টেড লিস্টে’ যুক্ত করে। এরপর নাওরোকি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স গ্রহণ করেন।
বই লেখা ও ছদ্মনাম বিতর্ক
২০১৮ সালে কমিউনিস্ট আমলের অপরাধজগতের কুখ্যাত চরিত্র নিকোডেম স্কোতারচাককে নিয়ে তিনি ছদ্মনাম ‘তাদেউস বাতির’ নামে একটি বই লেখেন। ওই বছর রাষ্ট্রীয় টিভিতে একজন ‘বাতির’ নামে ব্যক্তিকে দেখানো হয়, যিনি দাবি করেন, নাওরোকির অনুপ্রেরণায় তিনি লিখেছেন। পরে জানা যায়, বাতির ও নাওরোকি আসলে একই ব্যক্তি। বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে এবং এটি আত্মপ্রকাশের কৌশল বলে অভিযোগ তোলে।নাওরোকি ইংরেজি বলতে পারেন, এখনও অবসর সময়ে বক্সিং করেন এবং নিজেকে ‘এই কঠিন সময়ে পোল্যান্ডের জন্য দরকারি একজন শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট’ বলে দাবি করেন। তিনি তার স্ত্রী মার্তা, দুই সন্তান এবং এক সৎপুত্রকে নিয়ে বসবাস করেন।