সরকারি জমি আর কোনো সংস্থাকে প্রতীকী মূল্যে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। কোনো সংস্থা এ ধরনের জমি নিতে চাইলে যথাযথ দামেই নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।বৈঠকে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বা বিওএফের সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে চট্টগ্রামের জলিল টেক্সটাইল মিলসের ৫৪ দশমিক ৯৯ একর জমি হস্তান্তরের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।প্রায় ১৭ কোটি টাকার বিনিময়ে জমি হস্তান্তরের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদনের জন্য বিষয়টি আলোচনায় আসে।এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা জমিটি নিতে চেয়েছে, কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি, প্রতীকী মূল্যে জমি দেওয়া হবে না। তাদেরই দেওয়া হবে, তবে যথাযথ মূল্য পরিশোধ করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘প্রতীকী মূল্যে জমি দেওয়া হলে সেসব জমির যথাযথ ব্যবহার হয় না।অনেক সময় প্রকৃত প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জমির আবেদন করা হয়। যেমন, যেখানে ১০ একর যথেষ্ট, সেখানে ১০০ একরের চাহিদা তুলে ধরা হয়। এটা বন্ধ করতে হবে।’সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, সরকারি জমি ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতেই এই নীতিগত অবস্থান নেওয়া হয়েছে।সরকারি সম্পদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতে কঠোর মনোভাব অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।