প্রত্যাশা করছি সরকার থেকে দ্রুত চিঠি পাব।আজ বুধবার (৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পেলে কমিশন আলোচনা করে ভোটের তারিখ থেকে মাসদুয়েক আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা চেয়ে সিইসি বলেন, ‘কমিশনের দায়িত্ব হবে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ঠিক রাখা।নির্বাচনকে আয়নার মতো পরিষ্কার করতে চায় ইসি। বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় নির্বাচন কমিশনের চেষ্টা এবং আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না।’তিনি জানান, ম্যাসিভ অ্যাওয়ারনেসের মাধ্যমে ভোটের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে ইসি।আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভোট করতে পারবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম তো নিষিদ্ধ।তাদের বিচার চলমান রয়েছে, বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্তরের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে কমিশন এক মাস সময় হাতে রাখছে। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নয়, বরং নিয়ম মেনেই নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সিইসি নাসির উদ্দিন।গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অর্থাৎ রোজা শুরুর আগেই জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে।তিনি আরো বলেন, ‘এই নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও সর্বজনীন অংশগ্রহণমূলক।’ বিশেষভাবে নারী ও প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ নির্বাচনকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।