বাপ-দাদার কবিরাজি পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন ৯০ বছরের বৃদ্ধ পারাবত আলী, যাকে লোকে চেনে ‘কারেন্ট কবিরাজ’ নামে। আশপাশের জঙ্গল থেকে গাছের লতা-পাতা সংগ্রহ করে তৈরি করেন ভেষজ ওষুধ। বাত-ব্যথা, পাইলস, হার্নিয়া থেকে শুরু করে প্যারালাইসিস পর্যন্ত নানা রোগের চিকিৎসা করেন তিনি।তিন পুরুষ ধরে কবিরাজি করে আসা এক সময়ের জনপ্রিয় চিকিৎসকের, এখন জীবন কাটছে হাট-বাজারে দোকান করে, হোটেলে খেয়ে, আর মসজিদে রাত্রিযাপন করে।”প্রতি হাটে তার আয় হয় ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। যা খরচ করেন নিজের খাওয়াদাওয়ার জন্য, আর কিছু টাকা জমা রাখেন মেয়ের কাছে। নানা রকম ওষুধের নাম মুখস্ত বলতে থাকেন অনর্গল। এমনকি নিজের নাম ঠিকানা পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, নিজের প্রিয়তম স্ত্রীকে হারিয়েছেন দীর্ঘদিন।এখন আর বাড়ির মানুষের কোনো খোঁজ পাই না। তাকে বাড়ির মানুষও বোঝা মনে করে। তাই তিনি মসজিদে থেকে কবিরাজি করেন, এইভাবেই জীবন কাটে।স্থানীয়রা জানান, যেখানে তার পরিবারের উচিত ছিল দেখভাল করা, সেখানে শেষ বয়সে এসে কেও তার খোঁজ রাখে না।রাণীশংকৈল উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রাহিম উদ্দিন বলেন, ‘একসময় যে মানুষ রোগীর সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, আজ তিনিই জীবনযুদ্ধে একাকী। জীবনের শেষ সময়ে কারেন্ট কবিরাজ চেয়েছিলেন পরিবার ও সমাজের ভালোবাসা। অথচ আজ তিনি শুধু একজন ফেরারি কবিরাজ, যিনি বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়ে যাচ্ছেন একা।’
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..