বার্লিনে বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় রুটে বলেন, ‘আমরাই রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য। এবং আমরা ইতিমধ্যেই ঝুঁকির মধ্যে আছি। রাশিয়া ইউরোপে আবার যুদ্ধ ফিরিয়ে এনেছে, আর আমাদের সেই পরিসরের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে—যে যুদ্ধ আমাদের দাদা-দাদি ও পরদাদা-পরদাদিরা সহ্য করেছেন।ন্যাটো সদস্য দেশগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় বার্ষিকভাবে মোট দেশজ উৎপাদনের পাঁচ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানালেও, রুটের মতে আরো অনেক কিছু করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, জোটের দেশগুলোকে ‘যুদ্ধকালীন মানসিকতায়’ রূপান্তরিত হতে হবে।
রুটে প্রশ্ন তোলেন, ‘পুতিন নিজের অহংকারের জন্য নিজের জনগণের রক্ত ঢালছেন। তিনি যদি রুশ নাগরিকদের এভাবে বলিদান করতে পারেন, তবে আমাদের সঙ্গে তিনি কী করতে প্রস্তুত?’
তিনি আরো বলেন, ‘চীনের সহায়তা ছাড়া ক্রেমলিন ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না।চীন হলো রাশিয়ার লাইফলাইন। চীনা সমর্থন ছাড়া রাশিয়া এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। রুশ ড্রোন ও অন্যান্য ব্যবস্থায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক উপাদানের প্রায় ৮০ শতাংশই চীনে তৈরি। তাই কিয়েভ বা খারকিভে যখন কোনো বেসামরিক মানুষ নিহত হন, যে অস্ত্র তা ঘটায় তার ভেতরে প্রায়ই থাকে চীনা প্রযুক্তি।’