বাঁশির কারিগর মো. রফিকুল ইসলাম ‘এই কাজ আমার দাদা করেছে আমার বাবা করছে আমরাও করছি। এই গ্রামে প্রায় দেড়শো বছর ধরে বাঁশি বানানোর কাজ চলছে। বৈশাখ এলে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তখন সবাই মিলে কাজ করে। তবে আগে ঘরে ঘরে বাঁশি বানানোর কাজ করা হতো এখন তা কমে গেছে। মানুষ অন্য পেশায় কাজ করছে। আমি নিজেও অন্য পেশায় কাজ করি। অবসর সময়ে বাঁশি বানানোর কাজ করি। চট্টগ্রাম থেকে ট্রাকে করে মুলি বাঁশ আনতে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়। বাঁশির কারিগর বৃদ্ধ আবদুল করিম মিয়া বলেন, ‘বাঁশি তৈরির কাজ দাদা করেছে, বাপ করেছে, আমিও করছি আমার ছেলে মেয়েরাও করছে। এভাবেই সংসার চালিয়ে আসছি। শ্রীমুদ্দি বাঁশির সুরের গ্রাম। ঘরে ঘরে বাঁশি তৈরি হয়। বৈশাখ এলে চাহিদা বাড়ে। ভালোভাবে বাঁশি বানাতে একটু ১৯/২০ হলেই তাল, লয় লড়ে যাবে। তাই সুর ঠিক রাখতে আমরা খেয়াল রাখি।’হোমনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ‘শ্রীমদ্দি একটি এতিহ্যবাহী গ্রাম। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পটাকে টিকিয়ে রেখেছে। অনেক পরিবার এই শিল্পের ওপর জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ করি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সহায়তা করা হয়।’