এর জেরে যুদ্ধের প্রথম বছরে তাঁদের পরিবার একাধিকবার পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হয়।হাদিলদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল ছিল আল-শিফা হাসপাতালের কাছে হাইদার আবদেল শাফি মোড়ের পাশের একটি অ্যাপার্টমেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে ছিলাম। এটা ছিল আমাদের দশমবারের মতো গৃহহারা হওয়া। পবিত্র রমজান মাসে ওই ঘটনা ঘটেছিল। পর্যাপ্ত খাবার ছিল না। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কিছুই প্রায় ছিল না।’২০২৪ সালের ১৮ মার্চ নিশুতি রাতে ইসরায়েলি বাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে বড় ধরনের অভিযান চালায়। এ সময় হাসপাতালের আশপাশের এলাকা লক্ষ্য করে তীব্র বিমান হামলা ও কামানের গোলাবর্ষণ করা হয়।ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক ও সামরিক যান দিয়ে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। এরপর সেনারা হাসপাতাল চত্বরের আশপাশের ভবনগুলোতে হামলা চালায়। তারা সামনাসামনি মানুষজনকে গুলি করে হত্যা করে, জীবিতদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে।সেই রাতের ঘটনার স্মৃতিচারণা করে হাদিল সালেহ বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে প্রচণ্ড গুলির শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে ছিল ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাংক ও যুদ্ধবিমানের গগণবিদারী আওয়াজ।’হাদিল সালেহ ও তাঁর পরিবার ওই এলাকার অনেকের মতো কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। দিনের পর দিন তাঁরা ঘর থেকে বের হতে পারেননি। এলাকা ছেড়ে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।হাদিল বলেন, ‘সেই দিনগুলো ছিল অবর্ণনীয় কষ্টের। আমরা ইফতার করতে পারতাম না, নামাজ পড়তে পারতাম না। এমনকি অন্ধকারে একটা টর্চও জ্বালাতে পারতাম না। সব জায়গায় সেনারা চরে বেড়াচ্ছিল, ট্যাংকগুলোর ঘোরাঘুরি থামছিল না।’টানা আট দিন লুকিয়ে থাকার পর ইসরায়েলি বাহিনী অবশেষে সেই ভবনে পৌঁছায়, যেখানে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।