এ উপলক্ষে বছরের অর্ধেক অর্ডার এ সময়ই আসে। শুল্ক আরোপের ঘোষণায় উত্সবের মৌসুম ঘিরে ব্যবসার সুযোগ হাতছাড়া করতে হচ্ছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্থানীয় বাজারের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।’ শুধু তিরুপুর থেকেই ১৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে ভারত। তিরুপুরের গার্মেন্টসপাড়া থেকে বানানো পোশাক যায় টার্গেট, ওয়ালমার্ট, গ্যাপ ও জারার মতো বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডের কাছে।রাফট গার্মেন্টসের মালিক শিবা সুভ্রামানিয়াম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত একটি শার্ট ১০ ডলারে বিক্রি করে। সেখানে একই শার্ট চীন ১৪.২০ ডলার, বাংলাদেশ ১৩.২০ ডলার ও ভিয়েতনাম ১২ ডলারে বিক্রি করে থাকে। শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হলেও এশিয়ার অন্য প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে থাকতে হবে।’শুল্কের প্রভাবের তীব্রতা কমাতে কাঁচামালের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক কমিয়েছে ভারত সরকার। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের বাজারে প্রবেশের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। কিন্তু এসব পদক্ষেপ খুব বেশি কার্যকর হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রে শুধু পোশাক নয়, হিমায়িত চিংড়ি, রত্ন ও গয়নাও রপ্তানি করে থাকে ভারত। ভারত থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের রত্ন ও গয়না রপ্তানি করা হয়। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে তিন-চার বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের গয়না রপ্তানি করে ভারত। গয়না ব্যবসায়ীরা এখন যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বাজার ধরার চেষ্টা করছেন। গয়না তৈরির শিল্পের সঙ্গে ৫০ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত। মার্কিন ক্রেতারা অর্ডার স্থগিত করায় কারখানাগুলোতে মাসে কাজ চলছে মাত্র ১৫ দিন। ফলে চাকরি হারিয়েছেন হাজারো কর্মী।এশিয়া গ্রুপের অ্যাডভাইজরি ফার্মের গোপাল নাদ্দুর বলেন, ‘ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বাণিজ্যচুক্তি হবে কি না তা এখন ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর নির্ভর করছে। তবে ভারতের নীতিনির্ধারক ও ব্যাবসায়িক নেতাদেরও এখন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। একই সঙ্গে অন্য দেশগুলোর বাজারে প্রবেশেরও চেষ্টা চালাতে হবে।