রমজানে ভাসমান গুদাম করে দ্রব্যমূল্যের অস্থিতিশীলতা রোধে তৎপর হয়েছে কোস্ট গার্ড। গেল এক মাসে ১০৮৫টি জাহাজে যৌথ অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে কোস্ট গার্ড। সেই সঙ্গে নৌযানে রাত্রিকালীন নিরাপত্তার জন্য বিশেষ টহল দল নিয়োজিত রেখেছে তারা।সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ রূটে চলাচলকারী যাত্রিবাহী জাহাজের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে কোস্ট গার্ড। যার ফলে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া ঢাকা-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম নৌ রূটে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তায়ও কাজ করছে তারা। এদিকে বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি, ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কার্যক্রম শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সেবাপ্রত্যাশীরা। কোস্ট গার্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের জনগোষ্ঠী তথা দেশের আপামর
জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা, জলদস্যুতা ও বনদস্যুতা দমন, চোরাচালান, মাদক পাচার ও মানবপাচার রোধ, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে নিবেদিত প্রাণ কোস্ট গার্ডের প্রতিটি সদস্য। কোস্ট গার্ড সদরদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের সমুদ্র বন্দর, বহিঃনোঙরে অবস্থানরত বৈদেশিক বাণিজ্যিক জাহাজসমূহ এবং অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলরত নৌযান সমূহের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৭ খুনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ওই এলাকায় ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল প্রদানের ফলে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে চলাচলরত নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিয়মিত রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ইত্যাদি যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করা হচ্ছে।