পাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেড়া মডেল থানার ওসি ওলিউর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তারাপুর গ্রামে বর্তমানে দুটি মসজিদ রয়েছে। একটি পুরনো মসজিদ ও আরেকটি নতুন মসজিদ নামে পরিচিত। কয়েক বছর আগে পুরনো মসজিদে নামাজ-পরবর্তী মিলাদ মাহফিলে কিয়াম করা নিয়ে একটি ঝামেলা বাধে।
মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিন হাজীসহ একটি পক্ষ কিয়াম করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে সে সময় নতুন মসজিদ নির্মাণ করে। সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু একই গ্রামে কাছাকাছি দুইটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানায় ভিন্ন আরেকটি পক্ষ।গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ।
এ সময় হাঁসুয়া, টেঁটা, লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের প্রায় ২০০-২৫০ জন লোকের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন। তাদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা সুলতানা নীলা বলেন, ‘আমাদের এখানে ৩০ জনের মতো চিকিৎসা নিয়েছেন। আপাতত দুজন ভর্তি রয়েছেন। ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বগুড়া ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
বেড়া মডেল থানার ওসি ওলিউর রহমান বলেন, ‘কিয়াম করা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। আজ শুক্রবার সকালে মসজিদের বারান্দা তৈরির সময় এটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।’
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..