নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের শুকুরুদ্দিন কালুর ছেলে তুহিন আলী (২৬) ও একই এলাকার নসিবন্দি নগর গ্রামের মো. কাবিলের ছেলে মো. শামিম রেজা (২৪)। অন্যদিকে নিহত অন্যজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে সুঙ্গাই বুলোহ জেলা পুলিশ প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ হাফিজ মুহাম্মদ নর জানান, সেলাঙ্গর রাজ্যের সুঙ্গাই বুলুহ জালান পেরসিয়ারান বিআরপি ১-এর ট্র্যাফিক লাইট মোড়ে আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তার সাইকেলে করে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এসময় গাড়ির ধাক্কায় তিনি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন। এরপর আরো একটি মোটরসাইকেল এবং অন্য একটি এমপিভি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহ সুঙ্গাই বুলুহ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ১৯৭৬ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ৪১ (১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।এদিকে, গত রবিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের কুয়ালা লিপিস জেলার লাদাং অ্যাগ্রোপলিটান গাহাই থেকে ছয়জন বাংলাদেশিকে নিয়ে স্থানীয় এক গাড়িচালক তানজুং গাহাইয়ে শ্রমিকদের থাকার ঘরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় পাহাড়ি পথে একটি বাঁকে এক মোটরসাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং গাড়িটি উল্টে যায়।এতে গাড়ির পেছনে বসে থাকা দুই বাংলাদেশি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।লিপিস পুলিশ প্রধান ইসমাইল মান জানান, গাড়িটির চালক (৫২) ও বাকি চার যাত্রী অক্ষত রয়েছেন। নিহত ২ বাংলাদেশির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুয়ালা লিপিস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরো জানান, ঘটনাটি ১৯৮৭ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ৪১(১) ধারার অধীনে অবহেলামূলকভাবে গাড়ি চালানো এবং প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হওয়ায় তার তদন্ত করা হচ্ছে।এ দুর্ঘটনার বিষয়ে যদি কারো কাছে কোনো তথ্য থাকে, তাহলে সুঙ্গাই বুলুহ পুলিশ সদর দপ্তরের ট্রাফিক ইনভেস্টিগেটিং অফিসার ইন্সপেক্টর চে হাসান অ্যামবকের সঙ্গে অথবা সুঙ্গাই বুলোহ আইপিডি-এর অপারেশন কক্ষে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।