যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিতে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে পরিকল্পনা বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে, হামাস সোমবার তার নিন্দা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর পর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। যুদ্ধের দুই বছরেরও বেশি সময় পর গাজার বিস্তীর্ণ অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং জনসংখ্যার বিশাল অংশ অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।ওয়াশিংটন পোস্ট রবিবার ৩৮ পৃষ্ঠার একটি প্রস্তাবনার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, হোয়াইট হাউস এমন একটি পরিকল্পনা বিবেচনা করছে, যার আওতায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের আবাসস্থল গাজা অন্তত ১০ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানাধীন এলাকায় রূপান্তর করা হবে।এই পরিকল্পনার লক্ষ্য গাজাকে পর্যটনকেন্দ্র ও হাই-টেক হাব হিসেবে রূপান্তরিত করা।প্রস্তাবনায় গাজার সব জনগণকে অন্তত অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরের কথাও বলা হয়েছে, হয় ‘স্বেচ্ছায়’ অন্য দেশে প্রেরণ করা হবে অথবা ফিলিসি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে সীমিত, নিরাপদ অঞ্চলে রাখা হবে।হামাস রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নায়িম সোমবার এই প্রস্তাবনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়। গাজা…বৃহত্তর ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের অংশ।ট্রাম্প ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের সরিয়ে গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’ বানানোর ধারণা উত্থাপন করেছিলেন। এই ধারণা আরববিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের মধ্যেও তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে। কারণ তাদের ওই ভূমি থেকে জোরপূর্বক সরানোর যেকোনো চেষ্টা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় ঘটে যাওয়া ‘নাকবা’ বা বিপর্যয়ের স্মৃতি আবারও উজ্জীবিত হবে।নাম না প্রকাশের শর্তে হামাসের আরেক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমাদের জনগণকে ত্যাগ করার এবং আমাদের ভূমিতে দখলদারকে রাখার এসব পরিকল্পনা হামাস প্রত্যাখ্যান করে।হামাস আরো বলেছে, এই প্রস্তাবনা ‘অর্থহীন ও অন্যায়’ এবং এই উদ্যোগের কোনো বিস্তারিত তথ্য তাদের জানানো হয়নি।