খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। চিকিৎসার ব্যয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা হলেও ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও রাকিবের স্বজনদের সম্মিলিত চেষ্টায় সংগ্রহ হয়েছে ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৪২ টাকা।
রবিবার (২০ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যালামনাইদের পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভ্যানচালকরাও।এ ছাড়া সারা দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানান তার সহপাঠীরা।চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাকিবের অস্থিমজ্জা সম্পূর্ণরূপে বিকল হয়ে গেছে। বাঁচতে হলে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন জরুরি। বর্তমানে তিনি ঢাকার আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।দ্বিতীয় ধাপের কেমোথেরাপি চলছে, যা আরো এক মাস চলবে।জানা যায়, রাকিবের বাড়ি ঝিনাইদহে। বার্ধক্যজনিত কারণে তার বাবা কর্মক্ষম নন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বড় ভাই।চিকিৎসা চালাতে গিয়ে পরিবারের জমিজমা বিক্রি করে তারা প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তবে সুস্থতার আশায় থেমে থাকেননি—চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাধ্যমতো।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহপাঠী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যালামনাই এবং ভ্যানচালকদের উদারতায় রবিবার (২০ জুলাই) পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ হয়েছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৯৪২ টাকা। পরিবারের পক্ষ থেকেও সংগ্রহ হয়েছে আরো ১৫ লাখ টাকা।সব মিলিয়ে উঠেছে ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৪২ টাকা।ফলে চিকিৎসার জন্য এখনো প্রয়োজন আনুমানিক আরো ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও রাকিবের পরিবার আশাবাদী—এই বাকি অর্থও উঠে আসবে সবার সম্মিলিত সহায়তায়।রাকিব বলেন, ক্যান্সার রোগীর এমআরডি থাকা উচিত সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ১ শতাংশ, অথচ আমার রিপোর্টে এসেছে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ—প্রায় ৭০০ গুণ বেশি। চিকিৎসা ছাড়া বাঁচার আশা নেই। এখন শুধুই সবার দোয়া আর সহযোগিতাই আমার ভরসা।